WB Tet_এবার ৪৩ হাজার শিক্ষকের চাকরি যাওয়ার পথে রইল বিস্তারিত।

WB Tet_এবার ৪৩ হাজার শিক্ষকের চাকরি যাওয়ার পথে রইল বিস্তারিত।

এ মুহূর্তে সবথেকে বড় খবর হলো রাজ্যে ৪৩ হাজার শিক্ষকের চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা ইতিমধ্যে দেখা দিল। আগামী ২১ তারিখে হতে পারে এই খবরের শেষ ফলাফল। ঐদিন এমনই এক মন্তব্যের জেরে রাজ্যের জেলা থেকে শিক্ষকদের তলপ করেছেন প্রধান বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী।কিন্তু কেন  জেলার বর্ষীয়ান শিক্ষকদের আদালতে ডাকা হল আর কেনই বা নিয়োগ হওয়া ৪৩ হাজার চাকরি প্রাপকদের চাকরি বাতিলের চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি।

WB TET UPDATE

এমনিতেই গত কয়েক মাস ধরে রাজ্যের গোটা শিক্ষা দফতর টাই বেলাগাম দুর্নীতির জেরে জেলের  ঘানি টানছেন ।  সিবিআইয়ের (CBI) তদন্তে একের পর এক উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য । গত কয়েক যুগ ধরে আন্দোলনরত যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই  CBI।

Join Our WhatsApp Group Click here
Join Our Telegram Group Click here
Join Our Facebook Page Click here

ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে সিবিআই CBI আধিকারিকরা যে তথ্য আদালতে পেশ করেছেন, তার ভিত্তিতে ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রাজ্যের ৪৩ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক চাকরি প্রাপকদের বিষয়ে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য । এ বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার নিয়ম মতো ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়া হলেও রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার হাজার হাজার চাকরি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কোনও প্রকার অ্যাপটিটিউড টেস্ট APTITUDE TEST -ই নেয়নি পর্ষদ । শুধুমাত্র ইন্টারভিউ নিয়ে তার সঙ্গে অ্যাপটিটিউড (APTITUDE TEST) টেস্টের নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে । অথচ অ্যাপটিটিউড টেস্ট এবং ইন্টার্ভিউয়ের ক্ষেত্রে আলাদা নম্বর ধার্য করা হয়েছিল । প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায়  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার CBI রিপোর্টের পরেই এক প্রকার রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওপর ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ।

এই দুর্নীতির সম্বন্ধে দিন কয়েক আগেই  প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে হাইকোর্টে হলফ নামা পেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। কিন্তু পর্ষদের তরফে সন্তোষ জনক উত্তর না মেলায় এবং  (OMR SHEET) Sheet এ কারচুপির অভিযোগে ওই সময় অর্থাৎ ২০১৬ সালে জেলায় জেলায় যে শিক্ষকরা ওই অ্যাপটিটিউড ( Aptitude Test)  টেস্ট বা ইন্টারভিউয়ের দায়িত্বে ছিলেন এবার তাদের কেই আদালতে এসে ঘটনার সবিস্তার বর্ণনার নির্দেশ দিলেন মহামান্য  বিচারপতি।  আসলে তিনি ইতিমধ্যেই বলেছেন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মূল শিকড় সন্ধানের পাশাপাশি তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন । এমনই সুত্র মারফত খবর।

এই সূত্রের মারফত অনুযায়ী বিচারপতি রাজ্যের পাঁচটি জেলা থেকে (হুগলী , মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, দিনাজপুর ও কোচবিহার) বেশ কয়েকজন শিক্ষক কে আগামী ২১ শে ফেব্রুয়ারি আদালতে  স্ব-শরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গাঙ্গুলি । পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওই রিপোর্ট যদি হাজিরা দেওয়া শিক্ষকদের কথার সঙ্গে মিলে যায় , তাহলে রাজ্যের ৪৩ হাজার চাকরি প্রাপক প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের পাশাপাশি নিয়োগের গোটা প্যানেল ধরেই বাতিলের আগাম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি । ফলে আগামী ২১ শে ফেব্রুয়ারি  রাজ্যের ৪৩ হাজার চাকরি প্রাপকের ভাগ্য এখন এই পাঁচ জেলার শিক্ষকদের উপর এবং CBI এর দেওয়া তদন্তের উপর নির্ভর করছে। শেষ পর্যন্ত কি হয় এটাই দেখার পশ্চিমবঙ্গ আশাবাদী চাকরিপ্রার্থীদের। পরবর্তী আপডেটের জন্য সঙ্গে থাকুন।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *